পৃথিবীর সবকিছুই আল্লাহ রব্বুল আলামিন সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারের জন্য। এ প্রকৃতি, নদী, সাগর, ফুল-ফল, মাছ, পশুপাখি সবকিছুই করে দিয়েছেন মানুষের অধীন। কিন্তু মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। তাঁর দাসত্ব ও গোলামি করার জন্য। সুতরাং বান্দার রিজিকের ব্যবস্থা করা আল্লাহরই দায়িত্ব।
মৃত্যু অবধারিত । সবাইকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে । পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান:১৮৫)। মৃত্যুর স্মরণ মানুষের আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি আনুগত্য এবং পরকালীন মুক্তির পথে পরিচালিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। তাই সর্বদা মৃত্যুর...
ইহুদিরা জালিম শাসক ফেরাউনের নির্যাতন ও দাসত্বে জিঞ্জিরাবদ্ধ ছিল। আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.)-এর মাধ্যমে তাদের মুক্ত করেছেন। তাদের জন্য সমুদ্রে রাস্তা করে দিয়েছেন। মান্না-সালওয়া ও পানির ব্যবস্থা করেছেন। বাসস্থান দিয়েছেন। উন্মুক্ত ময়দানে মেঘমালার ছায়া দান করেছেন। তাদের বংশধর থেকে অসংখ্য নবী-রাসুল...
মাত্র ৯ মাসে মায়ের কাছে পড়ে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছে সাত বছরের এক শিশু। বিস্ময়কর এই বালকের নাম মুহাম্মদ। সে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামের মুফতি আবদুল্লাহ আমজাদের ছেলে।
মানুষের রিজিক নির্ধারিত। সৃষ্টির বহু আগ থেকেই তা লিপিবদ্ধ। কিছু আমলের মাধ্যমে এটি বাড়ানো সম্ভব, আবার কিছু কাজের কারণে তা ক্ষতিগ্রস্তও হয়—কমে যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো, নিশ্চয় আমার রব যাকে ইচ্ছা তার রিজিক সম্প্রসারিত করে দেন, আর যাকে ইচ্ছা তার রিজিক সংকুচিত করে দেন।
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য খুবই বরকত ও ফজিলতপূর্ণ দিন। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বিশেষভাবে এ দিনের গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। এই দিনের নামে একটি সুরাও স্থান পেয়েছে কোরআনুল কারিমে।
আরাফাহ হলো আরবি বর্ষপঞ্জির ১২তম মাসের ৯ তারিখ—যা হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ ছাড়া এটি ঈদুল আজহার আগের দিন হওয়ায় মুসলমানরা ঈদের সর্বশেষ প্রস্তুতিও এই দিন নিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী, এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
সুরা ওয়াকিয়া পবিত্র কোরআনের ৫৬ তম সুরা—যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ৯৬। এই সুরায় কিয়ামত, আখিরাত, মানুষের ভাগ্য, জান্নাত-জাহান্নাম এবং আল্লাহর বিচার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
একজন প্রকৃত মুসলমানের পরিচয় তার আচার-আচরণে প্রকাশ পায়। মুসলমানের অন্যতম গুণ হচ্ছে—সে হবে শান্তিপ্রিয়, অপরের হিতকামী। কখনও তার হাত মুখ দ্বারা কেউ কষ্ট পাবে না। বরং নিরুপদ্রবে জীবনযাপন করবে।
মানবসেবা নিঃসন্দেহে উত্তম কাজ। কিন্তু তা হতে হবে একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য এবং যথাসম্ভব গোপনে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান করো, তবে তা ভালো; আর যদি গোপনে করো এবং অভাবগ্রস্তদের দাও, তা তোমাদের জন্য আরও ভালো। এতে তিনি তোমাদের বহু পাপ মুছে দেবেন।
কোরবানি ত্যাগ ও প্রেমময় এক ইবাদত। ইসলামের নিদর্শন। হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানি করতে নির্দেশ দেন আল্লাহ তাআলা। সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর কোরবানি করা আবশ্যক। কোরবানির অন্যতম শর্ত হালাল উপার্জন থেকে কোরবানি করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর কাছে এগুলোর...
আরবি বর্ষপঞ্জির সর্বশেষ মাস জিলহজ। এ মাসেই মুসলমানরা কোরবানি করেন, মক্কায় গিয়ে হজ আদায় করেন। ইসলামে এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে জিলহজ মাসের প্রথম দশকের শ্রেষ্ঠত্বের কথা পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এসেছে বারবার।
শয়তান মানুষের চির শত্রু—এ কথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। তার কাজই হলো বনি আদমকে বিপথগামী করে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করা। তাই মোমিনের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তাকে শত্রুই ভাবতে হবে। এটাই মহান রবের নির্দেশ এবং সতর্কবার্তা।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) আমাদের হৃদয়ের বাদশাহ। তাঁর চলন-বলন, হাঁটাচলা, কথাবার্তা আর চাহনি—মুগ্ধ করত সবাইকে। ইমান অবস্থায় যে তাঁকে একবার দেখে মৃত্যুবরণ করেছে, তার জন্য জাহান্নাম হারাম। আমরা পৃথিবীতে এসেছি তাঁর বিদায়ের প্রায় দেড় হাজার বছর পর। কোরআন, হাদিস, ইতিহাসের গ্রন্থ আর নানা আলোচনায় তাঁর কথা শুনলেই...
নামাজের রয়েছে অসংখ্য বৈশিষ্ট্য। এর মধ্যে অন্যতম—নামাজ নামাজ অন্যায় ও অশ্লীলতা থেকে বিরত রাখে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।’
মা—ছোট্ট এ শব্দের মাঝে লুকিয়ে রয়েছে ভালোবাসা, ত্যাগ ও স্নেহের প্রতিচ্ছবি। সন্তানের জন্য মা নিজের আরাম-আয়েশ, ঘুম, এমনকি জীবন পর্যন্ত ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকেন। মা শুধু সন্তান জন্মই দেন না; বরং তার মানসিক, নৈতিক ও আত্মিক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি সন্তানের প্রথম শিক্ষিকা...
অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা ইসলাম সমর্থন করে না। বরং একে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধ ও পাপের একটি বিবেচনা করা হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এই অপরাধ থেকে বিরত থাকার জন্য বারবার সতর্ক করেছেন, বিভিন্ন শাস্তির কথা বলে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এখানে অন্যায় হত্যাকাণ্ডের পরকালীন শাস্তি সম্পর্কে কোরআনের..